কেক কাটার সময়ে ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নেভান! এর ফল কত ভয়ংকর জেনে নিন

চিকিৎসক পল ডওসনের পরিচালনায় গবেষণাটি হয়। মেয়ের সঙ্গে বার্থডে কেকের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এই বিষয়টি মাথায় আসে তাঁর।

জন্মদিনটা মনের মতো করে পালন করতে কার না ভাল লাগে! বছরের এই বিশেষ দিনটিতে সবাই মধ্যমণি। আর সেই সেলিব্রেশনের ক্ষেত্রে মোমবাতিতে ফুঁ দিয়ে কেক কাটা তো একেবারে অনিবার্য।

কেমন কেক কাটা হবে তা নিয়ে কত না পরিকল্পনা! কিন্তু কেক কাটার সময়ে মোমবাতিতে ফুঁ দেওয়া খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। যদিও আপাত ভাবে তাতে বিপদের সম্ভাবনা নেই। তবু কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এমনই দাবি করেছেন দক্ষিণ ক্যারোলিনার ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

জন্মদিনে কেক কাটার আগে, ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নেভানো বহুদিনের প্রথা। কিন্তু ফুঁ দেওয়ার সময়ে, মুখ দিয়ে ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়ে এবং সেগুলি জমা হয় বার্থডে কেকটির উপরে। যিনি ফুঁ দিয়ে নেভান তাঁর স্যালাইভা থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ব্যাকটেরিয়া। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এমনই জানিয়েছেন গবেষকরা।

চিকিৎসক পল ডওসনের পরিচালনায় গবেষণাটি হয়। মেয়ের সঙ্গে বার্থডে কেকের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এই বিষয়টি মাথায় আসে তাঁর। তার পরেই শুরু হয় গবেষণাটি। গবেষণা করার সময়ে তাঁরা দেখতে পান, মোমবাতিতে ফুঁ দেওয়ার সময়েই বেরিয়ে পড়ছে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া।

পল ডওসন জানিয়েছেন যে মানুষের মুখে অসংখ্য ও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। কিন্তু সেগুলি ক্ষতিকর নয়। তাই ফুঁ দেওয়ার সময়ে মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া বেরলেও তা খুব একটা ক্ষতি করে না। তাই তিনি কেক কাটার সময়ে ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নেভানোর এই প্রথাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে।

যদিও পল মনে করছেন, যিনি মোমবাতি নেভাচ্ছেন তিনি সুস্থ কি না বা তিনি কোনও ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত কি না তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। না হলে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি ছড়িয়ে পড়বে যাঁরা কেক খাবেন তাঁদের মধ্যেও।